১৯৭৭ সালে শিবলি সাদিকের সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্র কর্মজীবন শুরু। এখন পর্যন্ত ৩৫ টির মতো চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। যার মাধ্যমে অনেক চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে নায়ক-নায়িকাদের আগমন ঘটে। এরমধ্যে প্রয়াত সালমান শাহ, শাকিব খান ও চিত্রনায়িকা মৌসুমি অন্যতম। বর্তমানে ইউনিভার্সেল পারফর্মিং আর্টস ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। যার কথা বলছিলাম পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের কথা। তার পরিচালিত চলচ্চিত্রের বেশিরভাগই রোমান্টিক। এর মধ্যে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, (১৯৯৩), স্বজন (১৯৯৬), আমার ঘর আমার বেহেশত, অনন্ত ভালবাসা (১৯৯৯), লোভে পাপ পাপে মৃত্যু (২০১৪), দ্যা স্পিড (২০১২), সে আমার মন কেড়েছে (২০১২), কোটি টাকার প্রেম (২০১১), পরাণ যায় জ্বলিয়া রে (২০১০), আমার জান আমার প্রাণ (২০০৮), অনন্ত ভালবাসা (১৯৯৯) চলচ্চিত্রগুলো অন্যতম। কেন রোমান্টিক চলচ্চিত্রের বেশি নির্মাণ করেছেন জানতে চাইলে গুণী এই পরিচালক বলেন, ‘আসলে আমি জনসাধারণকে কিছুটা স্বস্তি দিতে চেয়েছি। তাই রোমান্টিক সিনেমা বানিয়েছি। আমি সাধারণত পারিবারিক মূল্যবোধ সহ বিনোদনমূলক ছবি নির্মাণ করেছি। তবে, আমি অ্যাকশন ছবিও বানিয়েছি।’ বর্তমান সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে সোহানুর রহমান সোহান বলেন, ‘বর্তমান ইন্ডাস্ট্রি খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই। সিনেমা নির্মাণের সংখ্যা দিন দিন কমছে। আসলে এখানে বিনিয়োগ করতে প্রযোজকরা ভয় পাচ্ছেন। ভালো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান নেই, ভালো গল্প নেই, ভালো পরিচালক নেই। আমাদের ১৪০০ সিনেমা হল ছিল। সিনেমা হলে তখন উপচে পড়া দর্শক ছিল। এমন অবস্থা ফিরলে আবার সবাই ভালো ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে পারতো। প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী, টেকনিশিয়ান সবার মুখে হাসি ফুটতো। সিনেমার সুদিন ফিরাতে হলে ভালো গল্পের সিনেমা বানাতে হবে। আর সেই সাথে প্রেক্ষাগৃহের সংকট কাটিয়ে তুলতে হবে। বাংলা সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে হলে আমাদের চলচ্চিত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে হবেই। যতটুকু জানি, সিনেমার হল উন্নয়নে সরকার কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। উদ্যোগগুলো বাস্তবায়ন হলে আশাকরি আগামী দুই বছরের মধ্যে সমস্যা কেটে যাবে।’ নতুন সিনেমার খবর আছে কিনা? সোহানুর রহমান সোহান বলেন, ‘নতুন সিনেমার কাজ শুরু করব। একটি সিনেমার কাজ রেডি। এ সিনেমার শুটিং খুব শিগগির শুরু করব। এ ছাড়া আরো দু’ একটা সিনেমার কাজ শুরু করব।’